ঝিনাইদহে ১০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অর্ধেক কমেছে
ঝিনাইদহে ১০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অর্ধেক কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভরা মৌসুমেও ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি এবং বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম। মাঠ থেকে পুরোদমে পেঁয়াজ ওঠা শুরু করলে দাম আরও কমতে পারে।
জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি পেঁয়াজের বাজার শৈলকুপা পেঁয়াজ হাট। শনি ও মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটে ভোর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ভ্যান, বাইসাইকেল যোগে পেঁয়াজ আনতে শুরু করেন কৃষকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে ওঠে বেচাকেনা।
শনিবার ১৯ মার্চ প্রতি মণ পেঁয়াজ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ হাটেই ১০ দিন আগে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমে দেশের বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি কৃষকদের।
পেঁয়াজের দামে হতাশ কৃষকরা বলেন, উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কম। দাম এমন থাকলে কৃষক বাঁচবে কীভাবে?
এদিকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ না করলে দাম আরও কমতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ঝিনাইদহের শৈলকুপা বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. মুক্তার মুন্সী বলেন, বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজেরও আমদানি হচ্ছে। দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়া ঠেকাতে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কমাতে হবে।
উল্লেখ্য, শৈলকুপার এ হাট থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৩ থেকে ১৫ হাজার মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়। যা সরবরাহ করা হয় ঢাকা, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
Comments
Post a Comment